মৌমাছি তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রয়েছে সেফা। (সুরা নাহল, আয়াত-৬৯)
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন সকালে মধু চেটে খাবে, তার বড় ধরনের কোন রোগ হবে না।’ (ইবনে মাজাহ : ৩৪৪১)
মধু হল মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাকৃতিক এ্যান্টিবায়োটিক।
সরিষা ফুলের মধুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। যেমনঃ
১। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠান্ডা লাগা,কফ,কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়।
২। মন ভালো করতে প্রতিদিন হালকা গরম পানির সাথে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খান। সঙ্গে একটু দারুচিনির গুঁড়াও ছিটিয়ে নিতে পারেন।
৩। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে ওজন কমে যায় কিছুদিনের মধ্যেই। এছাড়াও এভাবে প্রতিদিন খেলে লিভার পরিষ্কার থাকে,শরীরের বিষাক্ত উপাদান গুলো বের হয়ে যায় এবং শরীরের মেদ গলে বের হয়ে যায়।
৪। মধুর সাথে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।
৫। মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমে এবং যারা ইতিমধ্যেই একবার হার্ট অ্যাটাক করেছেন তাদের দ্বিতীয়বার অ্যাটাকের ঝুকি কমে যায়।
৬। হজমের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিবার ভারী খাবারের আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খান।
৭। যারা সারাক্ষন দূর্বলতায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেয়ে নিন এবং সারা দিন সবল থাকুন।
৮। সকালে ত্বকে মধু লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মধুর বেশ কিছু উপাদান ত্বক শুষে নেয়। ফলে ত্বক মসৃণ ও সুন্দর হয়।ত্বকে নিয়মিত মধু ব্যবহার করলে ত্বকের দাগও চলে যায়।
৯। অল্প গরম দুধের সঙ্গে মধু বেশ কার্যকরী। সকালের নাস্তার সাথে প্রতিদিন ১/২ চামচ মধু পান করা উত্তম। শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় মধু।
১০। মধু রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টকে শক্তিশালী করে, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অনিদ্রা দূর করে, শারীরিক দূর্বলতা দূর করে এবং পাকস্থলী সুস্থ রাখে। এছাড়া কফ, সর্দি, কাশি, পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া সহ পেটের যে কোন সমস্যায় মধু চমৎকার কাজ দেয়।
Reviews
There are no reviews yet.